শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী | শিরোনাম | সম্পাদকীয় » বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা: নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা: নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিন
সারা দেশেই ডাকাতদলের তৎপরতা বেড়েছে। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চের তুলনায় এপ্রিল-জুন মাসে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট রেঞ্জের কিছু জেলায় ডাকাতি বেড়েছে। রাজধানীতেও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। গত বছর বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ২১টি ও চুরির এক হাজার ৫১৭টি মামলা হয়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম মাসেই ডাকাতির তিনটি এবং চুরির ১২৮টি মামলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
সম্প্রতি ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেটসহ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় র্যাব-পুলিশ এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও জড়িত আরো অন্তত সাতজন এখনো ধরা পড়েনি।
গত আগস্ট মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ঢাকাগামী তিনটি নৈশ কোচসহ প্রায় ৩৩টি গাড়িতে গণডাকাতি হয়। রংপুরের পীরগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে হানিফ পরিবহনের একটি নৈশ কোচে ডাকাতদের হামলায় নিহত হন চালক।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত আরেক খবরে বলা হয়েছে, স্পিডবোট নিয়ে নদীর পাশের বন্দর বাজারগুলোতে হানা দিচ্ছে ডাকাতদল। তাদের টার্গেট সোনার দোকান। একটি দলের বিচরণ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, মানিকগঞ্জ, ঢাকার দোহার, আশুলিয়াসহ বন্দরঘেঁষা নদীতে।
ডাকাতদলের সবার বাড়ি শরীয়তপুর, মাদারীপুর, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জে। পদ্মা নদীর মাওয়া এলাকা থেকে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতি করে তারা আবার দ্রুত নিজ এলাকায় ফিরে যায়।
দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাত-আটটি করে মামলাও আছে। গত মাসের শুরুর দিকে আশুলিয়ার বংশী নদীর তীরে নয়ারহাট বাজারে ১৮টি সোনার দোকান থেকে ডাকাতদল প্রায় কোটি টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে। একইভাবে গত মধ্য আগস্টে গৌরনদীর টরকী বন্দরের ১৩টি দোকানের মালাপত্র লুট করে ডাকাতদল।
১৭ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চিতলিয়া বাজারের দুটি সোনার দোকান থেকে ১০০ ভরি সোনার পাশাপাশি নগদ ৩০ লাখ টাকা লুট করে ডাকাতদল।
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তখনই দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা সরকারকেও ভাবিয়ে তুলেছে বলে খবরে প্রকাশ। ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।